Junior Monanix Safe & Natural Multivitamin for Kids (6–59 months)

জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ

জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ বিশেষভাবে ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের পুষ্টিহীনতা ও রক্তস্বল্পতা মোকাবিলায় সহায়তার উদ্দেশ্যে তৈরি একটি প্রাকৃতিক ও নিরাপদ ভেষজ সিরাপ। এতে রয়েছে শতভাগ ভেষজ উপাদান, যা শিশুর কোমল শরীরের জন্য সম্পূর্ণ উপযোগী এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত। এই সিরাপটি শিশুদের হজম সমস্যা, পেট ফাঁপা, গ্যাস, হালকা ডায়রিয়া এবং দাঁত ওঠার সময়ের অস্বস্তি থেকে দ্রুত আরাম দিতে কার্যকর। এটি হজমশক্তি বাড়ায়, ক্ষুধা উদ্দীপিত করে এবং পরিপাকতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে সহায়তা করে। দাঁত ওঠার সময় শিশুর কান্না, অস্বস্তি ও ঘুমের ব্যাঘাতেও এটি আরাম দেয়।

নিয়মিত ব্যবহারে জুনিয়র মনানিক্স শিশুর সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করে এবং শিশুকে করে তোলে আরও সক্রিয়, আনন্দময় ও স্বাস্থ্যবান।

কেন জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ

• ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে।
• খেতে না চাওয়া শিশুরা এই সিরাপ খাওয়ার পর ক্ষুধা ফিরে পায়।

• বদহজম ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
  
• দাঁত ওঠার সময়ের ব্যথা ও জ্বালাভাব হ্রাস করে।
  
• শিশুর পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সহায়তা করে।
• কেমিক্যাল ও চিনি ছাড়া ভেষজ উপাদানে তৈরি, যা শিশুদের জন্য নিরাপদ ও সহনীয়।
• সম্পূর্ণ ভেষজ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত।

প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ:

প্রতি ৫ মি.লি. সিরাপে বিদ্যমান কার্যকর উপাদানসমূহ (জলীয় নির্যাস হিসেবে):

• কুরচি ছাল (Holarrhena antidysenterica): ডায়রিয়া ও পেটের অসুবিধা দূর করতে সহায়ক।
  
• তোখমে সোয়া (Anithum sowa): হজম ও গ্যাসের সমস্যায় উপকারী।
  
• বাদিয়ান / মৌরি (Foeniculum vulgare): ক্ষুধা বাড়াতে ও পেটের অস্বস্তি কমাতে সহায়তা করে।
  
• নরকচুর (Zingiber zerumbet): হজম বাড়ায় ও বমিভাব কমায়।
  
• নানখাহ (Trachyspermum ammi): পেটের গরম ও গ্যাসের সমস্যা কমায়।
  
• জিরা সাদা (Carum carvi): পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ায়।
  
• যাঞ্জাবিল (আদা) (Zingiber officinale): হজমে সহায়ক ও বমিভাব প্রতিরোধ করে।
  
• পুদিনা (Mentha piperita): ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও পেট ফাঁপা দূর করে।
  
• লবঙ্গ (করণফুল) (Syzygium aromaticum): জীবাণুনাশক ও ব্যথানাশক গুণে সমৃদ্ধ।

সূত্র: বাংলাদেশ জাতীয় ইউনানী ফর্মূলারী।

সেবন বিধি:

• ৬ মাস থেকে ২৩ মাস: ১/২ চা চামচ (২.৫ মিলি) দিনে ৩-৪ বার।
  
• ৬-১২ মাস: ১ চা চামচ (৫ মিলি) দিনে ৩-৪ বার।
  
• ১-২ বছর: ১-২ চা চামচ (৫-১০ মিলি) দিনে ৩-৪ বার।
  
• উপযুক্ত ডোজ: রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে।

বিশেষ নির্দেশনা: শিশুর বয়স, শারীরিক অবস্থা ও উপসর্গ অনুযায়ী রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করানো উত্তম।

জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ কী কাজে ব্যবহার করা হয়?

উত্তর: জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ শিশুদের হজম সমস্যা, পেট ফাঁপা, গ্যাস, হালকা ডায়রিয়া এবং দাঁত ওঠার সময়ের অস্বস্তি উপশমে ব্যবহৃত হয়। এটি প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানে তৈরি একটি নিরাপদ সিরাপ, যা ক্ষুধা বাড়ায়, হজমশক্তি উন্নত করে এবং শিশুর সামগ্রিক সুস্থতা নিশ্চিত করে।

কত মাস বয়স থেকে জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ দেওয়া যায়?

উত্তর: জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ ৬ মাস বয়স থেকে ৫৯ মাস (প্রায় ৫ বছর) বয়সী শিশুদের জন্য উপযোগী। তবে ডোজ নির্ধারণে শিশুর বয়স ও শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।

জুনিয়র মনানিক্স সিরাপের উপকারিতা কী কী?

উত্তর: এই সিরাপটি হজমের সমস্যা কমায়, ক্ষুধা বাড়ায়, পেটের গ্যাস ও ফাঁপা দূর করে এবং দাঁত ওঠার সময়ের অস্বস্তি থেকে শিশুকে আরাম দেয়। পাশাপাশি এটি পরিপাকতন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে এবং শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ খাওয়ানোর সঠিক নিয়ম কী?

উত্তর: সাধারণত ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে ২.৫ মিলি (½ চা চামচ) এবং ১-২ বছর বয়সী শিশুকে ৫-১০ মিলি (১-২ চা চামচ) দিনে ৩-৪ বার দেওয়া হয়। তবে শিশুর বয়স, শারীরিক অবস্থা ও উপসর্গ অনুযায়ী ডোজ নির্ধারণে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ অনলাইনে কোথায় পাওয়া যায়?

উত্তর: জুনিয়র মনানিক্স সিরাপ অনলাইনে সহজেই পাওয়া যায় জনপ্রিয় স্বাস্থ্য ও বেবি কেয়ার শপ যেমন রেনিক্স কেয়ার, নিরোগ কিডস, আরোগ্য সহ আরও অনেক বিশ্বস্ত অনলাইন ফার্মেসিতে। এছাড়াও, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও শহরের মডেল ফার্মেসি ও অনুমোদিত ওষুধের দোকানেও এটি সহজলভ্য। অনলাইনে অর্ডার করলে ঘরে বসেই হোম ডেলিভারির সুবিধায় পণ্যটি পেতে পারেন।